আল-কুরআন-সূরা আন নূর- ২৭-৩০ (আয়াতের ব্যাখ্যা)


আল-কুরআন
সূরা আন নূর- ২৭-৩০
 
২৭. হে ঈমানদারগণ!১৫ নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না যতক্ষণ না গৃহবাসীদের সম্মতি লাভ করো এবং তাদেরকে সালাম করো এটিই তোমাদের জন্য ভালো পদ্ধতি আশা করা যায় তোমরা এদিকে নজর রাখবে
 
২৮. তারপর যদি সেখানে কাউকে না পাও, তাহলে তাতে প্রবেশ করো না যতক্ষণ না তোমাদের অনুমতি দেয়া হয়১৬ আর যদি তোমাদের বলা হয়, ফিরে যাও তাহলে ফিরে যাবে, এটিই তোমাদের জন্য বেশী শালীন পরিচ্ছন্ন পদ্ধতি১৭ এবং যা কিছু তোমরা করো আল্লাহ তা খুব ভালোভাবেই জানেন
 
২৯. তবে তোমাদের জন্য কোনো ক্ষতি নেই যদি তোমরা এমন গৃহে প্রবেশ করো যেখানে কউ বাস করে না এবং তার মধ্যে তোমাদের কোনো কাজরে জিনিস আছে১৮-তোমরা যা কিছু প্রকাশ করো যা কিছু গোপন করো আল্লাহ সবই জানেন
 
৩০. হে নবী! মুমিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে১৯ এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাযত করে এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন
 

ব্যাখ্যাঃ

১৫. সমাজে খারাপি প্রকট হয়ে উঠলে তার প্রতিকার সংশোধন কি উপায়ে করতে হবে সূরার সূচনার নির্দেশগুলো তা দেখানোর জন্যই দেয়া হয়েছে
 
১৬. অর্থাৎ কারোর পক্ষে কারোর শূন্য ঘরে প্রবেশ বৈধ নয় তবে অবশ্য গৃহকর্তা যদি অনুমতি দেয় দৃষ্টান্ত স্বরূপ গৃহকর্তা কাউকে বললো, ‘যদি আমি উপস্থিত না থাকি, তবে আপনি আমার কামরাতে বসে থাকবেনঅথবা গৃহকর্তা অন্যস্থানে আছেন আপনি খবর পাবার পর গৃহকর্তা আপনাকে বলে পাঠালেন যে- আপনি তাশরীফ রাখুন, আমি এখুনি আসছি?’’
 
১৭. অর্থাৎ এতে কিছু খারাপ মনে করা উচিত নয় যে কোনো ব্যক্তির হক আছে যে, যদি সে কোনো ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করতে না চায় তবে সে সাক্ষাত করতে অস্বীকার করতে পারে অথবা কোনো ব্যস্ততা যদি সাক্ষাতকারে বাধা হয় তবে সে ওজর দেখাতে পারে

 

১৮. অর্থাৎ হোটেল, সরাইখানা, অতিথিশালা দোকান, মুসাফিরখানা প্রভৃতি যেখানে লোকের প্রবেশের সাধারণ অনুমতি আছে

 
১৯. মূলে আরবি এর নির্দেশ দেয়া হয়েছে সাধারণত যার অনুবাদ করা হয়ঃ দৃষ্টি অবনত করা বা অবনত রাখা
আসলে হুকুমের মর্ম সর্বদা নিচের দিকে দৃষ্টি রাখা নয় বরং এর অর্থ পূর্ণভাবে চোখ ভরে না দেখা এবং দেখার জন্য দৃষ্টিকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে ছেড়ে না দেয়াচোখকে বাঁচিয়ে চলে’- কথা দ্বারা অর্থ ঠিক আদায় হতে পারে অর্থাৎ যে জিনিস দেখা সমীচীন নয় তার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়া- তা এতে দৃষ্টি নিচের দিকে রাখা হোক বা অন্য কোনোদিকে ফিরিয়ে নেয়া হোক পূর্বাপর প্রসংগ হতেও একথা জানা যায় যে, বাধ্যবাধকতা যে জিনিসের ওপর আরোপ করা হয়েছে তা হচ্ছে- পুরুষ মানুষদের নারীদেরকে দেখা বা অপরের সতরের (লজ্জাস্থানের আবরণযোগ্য অংগের) প্রতি দৃষ্টিপাত করা বা অশ্লীল দৃশ্যের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা

Post a Comment

Previous Post Next Post