#আল কুরআন #সংক্ষীপ্ত তাফসীর
'আর আপনার আগে আমরা ওহীসহ কেবল পুরুষদেরকেই পাঠিয়েছিলাম, সুতরাং তোমরা জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর যদি না জান।'
সূরা নাহলঃ ৪৩
আয়াতের শানে নুযূলঃ
আমাদের সমাজের একশ্রেণির লোকেরা বলে থাকে যে, আমাদের মহানবী (সাঃ) মানুষ নন। মক্কার মুশিরকদেন দাবিও অনুরূপ ছিল যে, মানুষ রাসূল হতে পারে না। রাসূল হতে হলে ফেরেশতা হওয়া বাঞ্ছনীয়। মক্কার মুশরিক সম্প্রদায় রাসূল (সাঃ) এর নবুওয়াতকে অস্বীকার করে বলতো যে, আল্লাহ অতি মহান, তাঁর রাসূল মানুষ হবে কিরূপভাবে। তাঁর রাসূল পাঠাবার ইচ্ছা থাকলে তিনি কোনো ফেরেশতাকে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেননি কেন? তাদের এ অযোক্তিক আকিদা ও বিশ্বাসের জবাবে আল্লাহ তা'য়ালা আলোচ্য আয়াত নাযিল করেন।
-তাফসীরে আনওয়ারুল কুরআন
সংক্ষিপ্ত তাফসীরঃ
এ আয়াত থেকে আকীদার একটি বিরাট মূলনীতি প্রমাণিত হচ্ছে যে, আল্লাহ তা'য়ালা নবী-রাসূল হিসেবে একমাত্র পুরুষদেরকেই বাছাই করেছেন। আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনের তিনটি স্থানে সরাসরি এ ঘোষণা দিয়েছেন, [সূরা ইউসুফঃ ১০৯, সূরা আন নাহলঃ ৪৩, সূরা আম্বিয়াঃ ৭] সুতরাং কোন মহিলাকে আল্লাহ তা'য়ালা নবী-রাসূল করে পাঠাননি। কারণ নবুওয়াত ও রিসালাতের গুরুদায়িত্ব কেবলমাত্র পুরুষরাই বহন করতে পারে।
এখানে মক্কার মুশরিকদের একটি আপত্তি উদ্ধৃত না করেই তার জবাব দেওয়া হচ্ছে। এ আপত্তিটি ইতোপূর্বে সকল নবীর বিরুদ্ধে উত্থাপন করা হয়েছিল এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সমকালীনরাও তাঁর কাছে বারবার এ আপত্তি জানিয়েছিল। এ আপত্তিটি ছিল এই যে, আপনি আমাদের মতই একজন মানুষ, তাহলে আল্লাহ আপনাকে নবী করে পাঠিয়েছেন আমরা এ কথা কেমন করে মেনে নিবো? আল্লাহ তা'য়ালা তাদের এ আপত্তি ও তার উত্তর এ আয়াতসহ কুরআনের বিভিন্ন স্থানে দিয়েছেন। [দেখুনঃ সূরা ইউনুফঃ ২, সূরা ইউসুফঃ ১০৯, সূরা আল হিজরঃ ৯, সূরা আল ইসরাঃ ৯৩-৯৫, সূরা আল ফুরকানঃ ২০, সূরা আল আম্বিয়াঃ ৮, সূরা আল আহকাফঃ ৯, সূরা আল কাহফঃ ১১০]
জ্ঞানী সম্প্রদায়, আহলি কিতাবদের আলেম সমাজ এবং আরো এমন সব লোক যারা নাম -করা আলেম না হলেও মোটামুটি আসমানী কিতাবসমূহের শিক্ষা এবং পূর্ববর্তী নবীগণের জীবন বৃত্তান্ত জানেন। কুরআনেন অন্য আয়াতেও এ নির্দেশটি ঘোষিত হয়েছে। যেমন, "আপনার আগে আমরা ওহীসহ পুরুষদেরকেই পাঠিয়েছলাম; সুতরাং যদি তোমরা না জান তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর।"
(সূরা আল-আম্বিয়াঃ ৭]
__________________
সূত্রঃ
# কুরআনুল কারীম
# তাফসীরে আনওয়ারুল কুরআন
Tags
Al Quran